আমার বাচ্চা জাপানে জন্মগ্রহণ করেছে। আমি তার নতুন পাসপোর্ট করাতে চাই। এক্ষেত্রে আমাকে কি কি করতে হবে?
প্রথমেই আপনার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হতে সংগ্রহ করুন বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন আপনাকে কি কি করতে হবেঃ
Online Birth Registration Guideline
মনে রাখা ভাল যে, বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ কর্মদিবস সময় লেগে থাকে। যদি আপনি অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগবে।
অতঃপর আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করুনঃ
http://www.passport.gov.bd/
অনলাইনে কিভাবে পাসপোর্ট এর ফরম পূরণ করতে হয় তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে দেয়া আছে তার মধ্য থেকে একটি ভিডিও আমরা আপনার সহজে বোঝার জন্য শেয়ার করছিঃ
https://www.youtube.com/watch?v=aTSy1oJPhzs
অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যখন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হবে, তখন স্কিপ পেমেন্ট (Skip Payment) বক্সটি ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান; কেননা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আলাদা ভাবে আপনার কাছ থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের রশিদ সরাসরি বা ডাক মারফতে জমা নিব।
ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে তার এক কপি প্রিন্ট করে নিন এবং সেখানে বাচ্চার পাসপোর্ট সাইজের (৩০*৪০ মিলিমিটার অথবা ৩৫*৪৫ মিলিমিটার) অথবা আপনার সুবিধাজনক যেকোন সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি সংযুক্ত করুন। ছবি তোলার সময় চশমা, সাদা শার্ট, ফেন্সি টুপি, কপালে নজর টিপ, বা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস পরিহার করুন। একই ছবির একটি বড় ছবি টু এল (2L) সাইজ অথবা ১২*১৮ সেন্টিমিটার সাইজের ছবি সংযুক্ত করুন। এই ছবি থেকেই মূল পাসপোর্ট এর ছবি নেয়া হবে, তাই ছবিটি অবশ্যই যথাযথ এবং সর্বোচ্চ রেজোল্যুশন বা মেগাপিক্সেলের হতে হবে। ছবিটি পোর্ট্রেট (portrait) ধরনের হবে, চোখ খোলা থাকবে, দুটো কান যথাসম্ভব দৃশ্যমান হতে হবে, মাথার উপরে এবং মুখমন্ডলের উভয় পাশে খালি জায়গা থাকবে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে। পিতা-মাতার উভয়েরই ২৫*৩৫ মিলিমিটার সাইজের ছবি আবেদনপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় আঠা দিয়ে সংযুক্ত করুন। এই পাসপোর্ট ফর্মের কোথাও কোন সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অতঃপর নিন্মোক্ত ডকুমেন্টসমুহ সংযুক্ত করুনঃ
ক) বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হতে সংগৃহীত জন্ম নিবন্ধন সনদ
খ) জাপানি জন্ম সনদের ফটোকপি এবং জুমিন ইয়োর অরিজিনাল কপি। যদি আপনি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে থাকেন, তাহলে জাপানি জন্ম সনদ সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই।
গ) বাচ্চা, বাবা এবং মায়ের জাপানি জাইরো কার্ডের উভয় পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিন।
ঘ) মাতা ও পিতার পাসপোর্ট এর কপি সংযুক্ত করুন
ঙ) ১২০০০ (12000) ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন। প্রি-স্কুল/কিন্ডারগার্টেন/চাইল্ড কেয়ার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট আপনার স্টুডেন্ট এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না; এসকল ক্ষেত্রেও আপনাকে ১২০০০ ইয়েন দিতে হবে।
চ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন।
আমি ডাকযোগে আমার পাসপোর্টের আবেদন পাঠাতে বা ফেরত পেতে পারবো কিনা?
ডাকযোগে আপনার আবেদন দূতাবাসে পাঠাতে চাইলে, আবেদন পত্রের সাথে একটি ফিরতি খাম লেটার প্যাক সংযুক্ত করতে হবে যা আপনি আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস অথবা ফ্যামিলি মার্ট বা সেভেন এলেভেন থেকে ক্রয় করতে পারবেন। নমুনা খামের একটি ছবি নিচের লিংকে সংযুক্ত করা হলোঃ
এটি একটি লাল বর্ডার যুক্ত এলপি লেটার প্যাক যার মুল্য ৫২০ ইয়েন। উক্ত খামের উপর আপনার পোস্ট কোড সহ পূর্ণ ঠিকানা, নাম ও ফোন নাম্বার লিখে নিন। লেটার প্যাকটি পাঠানোর পূর্বে লেটার প্যাকের উপরের পৃষ্ঠার একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন এবং এই লেটার প্যাক এর উপরে একটি ট্রাকিং নাম্বার দেয়া আছে যা দিয়ে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার লেটার প্যাকটি দূতাবাসে পৌঁছেছে কিনা বা আপনার প্রেরিত লেটার প্যাকটি বর্তমানে কোথায় আছে তা ট্র্যাকিং করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
https://www.post.japanpost.jp/index_en.html
ডাকযোগে প্রেরণের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হলে দূতাবাস দায়ী থাকবেনা মর্মে আপনার স্বাক্ষর সহ একটি সাদা কাগজে আবেদন সংযুক্ত করুন। মনে রাখবেন, একটি লেটার প্যাক এ সর্বোচ্চ ২ জনের পাসপোর্ট পাঠানো যায়; তাই আবেদনকারীর সংখ্যা দুই জনের বেশি হলে একাধিক (প্রয়োজনমতো) লেটার প্যাক সংযুক্ত করুন। আপনার প্রেরিত প্রতিটি খামের একটি ছবি তুলে আপনার সংরক্ষণে রাখুন।
ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায় এবং কিভাবে করব?
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের আশেপাশেই ফ্যামিলি মার্ট, সেভেন এলেভেন, পোস্ট অফিস বা জেপি ব্যাংক রয়েছে যেখান থেকে সহজেই আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। প্রাপক- জাপান পোস্ট ব্যাংক (JP Bank) অ্যাকাউন্ট নাম্বার ১০০৮০-৭৩৭৯৬৭৫১ (10080- 73796751)। পোস্ট অফিসে সরাসরি ফি প্রদান করলে দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো লিখুন আর ব্যাংকের এটিএম কার্ড-এর মাধ্যমে এটিএম মেশিনে ফি প্রদান করতে চাইলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো টাইপ করুন এবং সবশেষ বাটনে চাপ দেয়ার আগে জাপানিজ ভাষায় দূতাবাসের নামটি পরীক্ষা করে নিন। অসতর্ক হলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং অর্থের পরিমাণ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। উল্লেখ্য, দূতাবাস একাউন্টে অতিরিক্ত অর্থ প্রেরণ করলে ৭ দিনের মধ্যে অবশ্যই দূতাবাসকে জানাতে হবে। মনে রাখবেন, ভুলক্রমে প্রেরণকৃত অর্থ ফেরত প্রদান সরকারি আইন অনুযায়ী অনেক সময় সাপেক্ষ এবং জটিল বিষয়। উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। ** সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে Percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে। উপরোক্ত আবেদন এবং ডকুমেন্ট সমূহ পাওয়ার পরে প্রাথমিকভাবে আমরা একটি এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব এবং একটি ডেলিভারি স্লিপ আপনার প্রয়োজনীয় স্বাক্ষরের জন্য আপনার ইমেইলে স্ক্যান করে পাঠিয়ে দিব। ডাকযোগেও পাঠানো সম্ভব যদি আপনি ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ আলাদা আরেকটি ফেরত খাম দেন। অতঃপর ডেলিভারি স্লিপটি প্রিন্ট আউট করে স্বাক্ষর করে, স্ক্যান করে ইমেইলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আপনার স্বাক্ষরিত কাগজটি পেলেই আমরা অবশিষ্ট কয়েকটি পর্যায়ের কাজ শেষ করে ঢাকায় পাসপোর্ট প্রিন্ট এর জন্য প্রেরণ করব। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই অথবা আমি ইমেইল ব্যবহার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি স্লিপটি আমি কিভাবে পেতে পারি ?
যেকোন ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইলে যোগাযোগ করা সবচেয়ে উত্তম, কেননা এতে আপনার ডেলিভারি স্লিপ বা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। আমরা অনেক সময়ই আবেদনকারীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, তিনি তার ডেলিভারি স্লিপ-এর কাগজটি হারিয়ে ফেলেছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সকল ক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট এর আবেদন খুঁজে পেতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ হচ্ছে, আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করতে নাও পারেন আপনার যে বন্ধু বা নিকট আত্মীয় ব্যবহার করে তার ইমেইল এড্রেসটি আমাদের দিন; আর একান্তই অপারগ হলে আপনি ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। উক্ত খামে আমরা আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ডেলিভারি স্লিপ আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব যা আপনি স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে দিলে আমরা আপনার পাসপোর্ট-এর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করে ঢাকায় প্রিন্টিং এর জন্য পাঠিয়ে দিব। ফেরত দেয়ার পূর্বে অবশ্যই ডেলিভারি স্লিপের ছবি তুলে আপনার সংরক্ষনে রাখুন। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব?
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন link আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন ২০২০ সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
এই তালিকাটি থেকে জানা যাচ্ছে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। যেমন, ২০২০ সালের-
জানুয়ারি ১৩ | মার্চ ২০ | মে ৪ | জুলাই ২৩ |
জুলাই ২৪ | আগষ্ট ১০ | সেপ্টেম্বর ২২ | নভেম্বর ৩ |
এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতোপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ১০০০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
আমি দূতাবাস হতে ইতোপূর্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ করিয়েছি। এখন সেই জন্ম নিবন্ধন সনদে কিছু তথ্য পরিবর্তন করতে চাই। আমাকে কি করতে হবে?
আপনি আপনার পাসপোর্ট-এর কপি, জায়রো কার্ডের কপি ও পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ-এর কপি সহ সাদা কাগজে আবেদন করুন। আপনি কি কি পরিবর্তন চান তা আপনার আবেদনে বিস্তারিত লিখুন এবং তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করুন। একই সাথে বাংলাদেশ হতে একটি এফিডেভিট করে সেটি নোটারাইজড করে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে দূতাবাসে জমা দিন। সেই সাথে 3000 ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব। আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
আমি ডাকযোগে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট এর আবেদন একসাথে পাঠাতে পারবো কিনা?
দুটো আবেদন আপনি ডাকযোগে একসাথে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও আমাদের পরামর্শ হল আলাদাভাবে প্রেরন করা কেননা দুটো কাজ আমাদের আলাদা আলাদা করতে হয় এবং এতে ভুল-ত্রুটি হয় না। দুটো আবেদন একসাথে পাঠালে প্রথমে আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তারপরে পাসপোর্ট এর প্রসেস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটে ভুল ত্রুটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই আপনি প্রথমে জন্ম নিবন্ধন এর কাজ সম্পন্ন করুন তারপরে পাসপোর্টের আবেদন আলাদাভাবে পাঠান। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
আমি অনলাইনে আবেদন করতে পারছিনা; এখন আমি কি করব?
অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন পাসপোর্ট যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্য সমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য বাচ্চাকে দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা জানতে চাই?
বাচ্চার যদি প্রথম এমআরপি পাসপোর্ট করতে হয় এবং বাচ্চার বয়স যদি পাঁচ বছরের কম হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাথে আনার প্রয়োজন নেই। আর বাচ্চার বয়স যদি ৫ বছরের অধিক হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। তাই বাচ্চার বয়স পূর্ণ পাঁচ বছর বা তার অধিক হলে তাকে অবশ্যই দূতাবাসে আসতে হবে।
প্রথমবার পাসপোর্ট করার সময় তো বাচ্চাকে নিয়ে আসিনি। তাহলে এখন কেন আনতে হবে?
তখন আপনার বাচ্চার বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল, তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পাঁচ বছরের বেশি হওয়াতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।
জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে? আর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছে, আমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?
আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?
বর্তমানে বিদেশস্থ কোন বাংলাদেশ দূতাবাসে জরুরিভিত্তিতে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা চালু নেই। পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে নতুন পাসপোর্ট পেতে বর্তমানে ২০ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে। আপনার পাসপোর্ট-এর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেই জানতে পারবেন। কিভাবে জানবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তারই একটি ভিডিও লিঙ্ক নিম্নরূপঃ https://www.youtube.com/watch?v=hEVLlSKt5G4 যে তারিখ আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপে উল্লেখ আছে, সেই তারিখটি মূলত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিদেশস্থ মিশনগুলোতে সাধারণত এর চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগে।
আমার এতদিন কোন ডিজিটাল এমআরপি পাসপোর্ট ছিল না। শুধুমাত্র হাতের লেখা পাসপোর্ট ছিল। আমি এখন ডিজিটাল বা এমআরপি পাসপোর্ট করতে চাই। আমার কি করনীয়?
প্রথমেই আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করুনঃ http://www.passport.gov.bd/ অনলাইনে কিভাবে পাসপোর্ট এর ফরম পূরণ করতে হয় তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে দেয়া আছে তার মধ্য থেকে একটি ভিডিও আমরা আপনার সহজে বোঝার জন্য শেয়ার করছিঃ https://www.youtube.com/watch?v=aTSy1oJPhzs অনলাইনে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে যখন পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হবে, তখন স্কিপ পেমেন্ট (Skip Payment) বক্সটি ক্লিক করে সামনে এগিয়ে যান; কেননা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য এখানে দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আলাদা ভাবে আপনার কাছ থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের রশিদ সরাসরি বা ডাক মারফতে জমা নিব। ফরমটি পূরণ করা হয়ে গেলে তার এক কপি প্রিন্ট করে নিন এবং সেখানে আপনার পাসপোর্ট সাইজের অথবা আপনার সুবিধাজনক যেকোন সাইজের ছবি সংযুক্ত করুন। এই পাসপোর্ট ফর্মের কোথাও কোন সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অতঃপর নিন্মোক্ত ডকুমেন্টসমুহ সংযুক্ত করুনঃ ক) আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অথবা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে) মনে রাখবেন, আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অবশ্যই অনলাইন ভেরিফাইড হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট অনলাইনে কিভাবে ভেরিফাই করতে হয়, তার অসংখ্য ভিডিও ইউটিউবে আছে। তার মধ্য থেকে আমরা একটি ভিডিও নিচের লিংকে শেয়ার করছি, যাতে করে কাজটি করা আপনার জন্য সহজ হয়ঃ https://www.youtube.com/watch?v=DTqQ6OM5IeE&t=27s ভেরিফিকেশন পেইজের একটি প্রিন্টেড কপি আপনার আবেদন এর সাথে যুক্ত করুন। আর আপনার জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের তথ্যাবলী যদি অনলাইনে দেখা না যায়, তাহলে যেখান থেকে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ করিয়েছিলেন সেই দপ্তরে যোগাযোগ করার মাধ্যমে অনলাইনে যেন তথ্য প্রদর্শিত হয় সেই ব্যবস্থা নিন।
অনেকে জানতে চান যে, আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। সেটি আমি দূতাবাস থেকে করাতে পারবো কিনা?
আপনার জন্ম যদি জাপানে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে জাপান দূতাবাস থেকে জন্ম সনদ নেয়া যাবে। আর জন্ম যদি জাপানে না হয় সে ক্ষেত্রে তা দেশ থেকে করানো উত্তম। বাংলাদেশ দূতাবাস হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের লিংকে প্রবেশ করে জেনে নিন আপনাকে কি কি করতে হবেঃ
online birth registration/
মনে রাখা ভাল যে, বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ কর্মদিবস সময় লেগে থাকে। যদি আপনি অনলাইনে আবেদন পূরণ করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগবে।
খ) আপনার পূর্বের হাতের লেখা পাসপোর্ট এর প্রথম ছয় পৃষ্ঠার ফটোকপি ও মূল পাসপোর্টঃ মনে রাখবেন, আপনার হাতের লেখা পাসপোর্ট বা পুরোনো পাসপোর্ট-এর সাথে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট-এর প্রদত্ত তথ্য সমূহ অবশ্যই অভিন্ন হতে হবে। হাতের লেখা পাসপোর্টের কোন তথ্যের পরিবর্তন বা সংশোধন থাকলে, জন্ম নিবন্ধন সনদে সেই সংশোধন বা পরিবর্তন করতে হবে এবং বাংলাদেশ হতে একটি এফিডেভিট করে প্রথমে নোটারাইজড করে পরবর্তীতে আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে সেই কপিটি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড থাকে সেক্ষেত্রেও অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে।
গ) জাইরো কার্ডের কপি
ঘ) আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
ঙ) আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়); সেক্ষেত্রে, ৪০০০ (4000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত অন্য সকলের ক্ষেত্রে ১২০০০ (12000) ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন।
চ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন।
** আপনার বয়স যদি পাঁচ বছর কিংবা তদূর্ধ্ব হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দূতাবাসের সশরীরে এসে বায়োমেট্রিক এবং ছবি তুলতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আপনি চাইলে ৫২০ ইয়েন মুল্যের খাম দূতাবাসে জমা দিতে পারবেন যেটা দিয়ে আমরা আপনার পাসপোর্টটি প্রিন্ট হয়ে আসলে আপনার নিকট পাঠিয়ে দিব।
** যারা দূতাবাসে এসে তাদের নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন, তাদের পুরনো পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখা হবে না। নতুন পাসপোর্ট যখন নিতে আসবেন, তখন পুরাতন পাসপোর্ট এবং ডেলিভারি স্লিপ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা আপনার নতুন পাসপোর্টটি ইস্যু করব এবং পুরাতন পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করে একসাথে আপনাকে ফেরত দিব।
সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, নতুন পাসপোর্টের আবেদনটি পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন হওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি স্লিপ এর কপি নিয়ে আপনার কোন প্রতিনিধি ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।
আমি অনলাইনে আবেদন করতে পারছিনা; এখন আমি কি করব?
অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন পাসপোর্ট যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্য সমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায়, কত ইয়েন এবং কিভাবে করব?
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের আশেপাশেই ফ্যামিলি মার্ট সেভেন এলেভেন বা পোস্ট অফিস জেপি ব্যাংক রয়েছে যেখান থেকে সহজেই আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। প্রাপক- জাপান পোস্ট ব্যাংক (JP Bank) অ্যাকাউন্ট নাম্বার ১০০৮০-৭৩৭৯৬৭৫১ (10080- 73796751)। পোস্ট অফিসে সরাসরি ফি প্রদান করলে দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো লিখুন আর ব্যাংকের এটিএম কার্ড-এর মাধ্যমে এটিএম মেশিনে ফি প্রদান করতে চাইলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো টাইপ করুন এবং সবশেষ বাটনে চাপ দেয়ার আগে জাপানিজ ভাষায় দূতাবাসের নামটি পরীক্ষা করে নিন। অসতর্ক হলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং অর্থের পরিমাণ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। উল্লেখ্য, দূতাবাস একাউন্টে অতিরিক্ত অর্থ প্রেরণ করলে ৭ দিনের মধ্যে অবশ্যই দূতাবাসকে জানাতে হবে। মনে রাখবেন, ভুলক্রমে প্রেরণকৃত অর্থ ফেরত প্রদান সরকারি আইন অনুযায়ী অনেক সময় সাপেক্ষ এবং জটিল বিষয়। উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন (বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনিস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি জমাদান সাপেক্ষে) ৪০০০ (4000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত সকলের ক্ষেত্রে ১২০০০ (12000) ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে এবং জাপানে সাময়িক সময়ের জন্য পিএইচডি/মাস্টার্স/উচ্চশিক্ষা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আসলে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ১২০০০ ইয়েন প্রদান করতে হবে। অফিশিয়াল পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে কোন ফি প্রদান এর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে আপনার ভ্যালিড জিও কপি সংযুক্ত করুন।
আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই অথবা আমি ইমেইল ব্যবহার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি স্লিপটি আমি কিভাবে পেতে পারি ?
যেকোন ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইলে যোগাযোগ করা সবচেয়ে উত্তম, কেননা এতে আপনার ডেলিভারি স্লিপ বা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। আমরা অনেক সময়ই আবেদনকারীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, তিনি তার ডেলিভারি স্লিপ-এর কাগজটি হারিয়ে ফেলেছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সকল ক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট এর আবেদন খুঁজে পেতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ হচ্ছে, আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করতে নাও পারেন আপনার যে বন্ধু বা নিকট আত্মীয় ব্যবহার করে তার ইমেইল এড্রেসটি আমাদের দিন; আর একান্তই অপারগ হলে আপনি ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। উক্ত খামে আমরা আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ডেলিভারি স্লিপ আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব যা আপনি স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে দিলে আমরা আপনার পাসপোর্ট-এর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করে ঢাকায় প্রিন্টিং এর জন্য পাঠিয়ে দিব। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন ২০২০ সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
এই তালিকাটি থেকে জানা যাচ্ছে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। যেমন, ২০২০ সালের-
জানুয়ারি ১৩ | মার্চ ২০ | মে ৪ | জুলাই ২৩ |
জুলাই ২৪ | আগষ্ট ১০ | সেপ্টেম্বর ২২ | নভেম্বর ৩ |
এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন link
আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতিপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ১০০০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে? আর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছে, আমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?
আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?
বর্তমানে বিদেশস্থ কোন বাংলাদেশ দূতাবাসে জরুরিভিত্তিতে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা চালু নেই। পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে নতুন পাসপোর্ট পেতে বর্তমানে ২০ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে। আপনার পাসপোর্ট-এর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেই জানতে পারবেন। কিভাবে জানবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তারই একটি ভিডিও লিঙ্ক নিম্নরূপঃ https://www.youtube.com/watch?v=hEVLlSKt5G4 যে তারিখ আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপে উল্লেখ আছে, সেই তারিখটি মূলত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিদেশস্থ মিশনগুলোতে সাধারণত এর চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগে।
আমি নতুন বিবাহ করেছি; তাই আমার পাসপোর্টে আমার ম্যারিটাল স্ট্যাটাস এবং স্বামী/স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করতে চাই, এক্ষেত্রে আমাকে কি করতে হবে?
আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে থাকেন তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট, সিটি অফিস থেকে ইস্যুকৃত জুমিন ইয়ো, স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জাইরো কার্ড এর কপি দিতে হবে। আর আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে না থাকে, তাহলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে এবং স্বামী বা স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
আমার ডিভোর্স বা তালাক সংক্রান্ত কারণে স্বামী বা স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করতে চাই অথবা ম্যারিটাল স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে চাই। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়?
আপনার বিবাহ জাপানে হয়ে থাকলে সিটি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিভোর্স সার্টিফিকেট প্রথমে অনুবাদ করে ও পরে নোটারি করে জমা দিতে হবে। আর বাংলাদেশে যদি বিবাহ হয়, সে ক্ষেত্রে ডিভোর্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিভোর্স সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
আবেদনে ছবির সাইজ কেমন হবে এবং ছবির পিছনে স্বাক্ষর বা সত্যায়িত করা লাগবে কিনা?
আবেদনের সময় ছবির সুনির্দিষ্ট কোন সাইজ প্রয়োজন নেই; তবে পাসপোর্ট সাইজের অর্থাৎ ৩০*৪০ mm অথবা ৩৫*৪৫ mm সাইজের ছবি হলে ভালো হয়। ছবির পিছনে স্বাক্ষর অথবা সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
আমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড আছে, সেক্ষেত্রে কি আমাকে স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) দিতে হবে
জি হ্যাঁ। স্টুডেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) জমা দিতে হবে এই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেটটি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে। প্রি-স্কুল/কিন্ডারগার্টেন/চাইল্ড কেয়ার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট আপনার স্টুডেন্ট এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না; এসকল ক্ষেত্রে আপনাকে ১২০০০ ইয়েন দিতে হবে।
বিশেষ প্রয়োজনে আমার বর্তমান হাতের লেখা পাসপোর্টটি দূতাবাসে জমা রাখা সম্ভব নয় অথবা আমি পাসপোর্ট-এর আবেদনের সময় আমার বর্তমান পাসপোর্টটি জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন জরুরী প্রয়োজনে তা আমি ফেরত চাই। এমতাবস্থায় আমি কি করবো?
আপনি আপনার জমাকৃত পাসপোর্টটি জরুরী প্রয়োজনে ফেরত নিতে চাইলে দূতাবাসে সশরীরে এসে আবেদন করতে পারেন। আর যদি ডাকযোগে ফেরত চাইলে সেক্ষেত্রে আপনি দুইটি ফিরতি খাম সম্বলিত লেটার প্যাক আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, যেখানে প্রথমটি দিয়ে আমরা আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি আপনাকে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করব। তবে মনে রাখবেন, নতুন পাসপোর্ট নেয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে পুরনো পাসপোর্টটি দূতাবাসে পুনরায় জমা দিতে হবে কেননা নতুন পাসপোর্ট দেয়ার সাথে সাথে আপনার পুরনো পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করা বাধ্যতামূলক। তাই আপনার প্রয়োজন শেষে আপনার পাসপোর্টটি পুনরায় আমাদের নিকট পাঠিয়ে দিন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন এবং পুরানো দুটো পাসপোর্ট আপনাকে আপনার দেয়া দ্বিতীয় খামে ফেরত পাঠিয়ে দিব।
বর্তমান পাসপোর্টে আমার নিজের নাম/বাবার নাম/মায়ের নাম/স্থায়ী ঠিকানা/জন্ম তারিখ ভুল আছে বা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। উক্ত সংশোধনের জন্য আমাকে কি করতে হবে?
আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ভিতর কম গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য যেমন বর্তমান ঠিকানা ফোন নাম্বার, পেশা, ইমারজেন্সি অ্যাড্রেস ইত্যাদি পরিবর্তন করা তুলনামূলক সহজ এবং দূতাবাস তা করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করতে চান, সেটা দূতাবাসে করা খুবই জটিল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। আমাদের পরামর্শ হল, পাসপোর্টে পরিবর্তন করা প্রয়োজন হলে সেটা আপনি দেশ থেকে করা শ্রেয়। আপনার যদি আগামীতে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে যখন দেশে যাবেন তখন দেশ থেকে এই কাজটি করিয়ে নিবেন মর্মে এখনই পরিকল্পনা করে নিন। আর একান্তই যদি দূতাবাস থেকে করাতে চান, সেক্ষেত্রে আবেদনের সময় আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আপনার পাসপোর্টে পরিবর্তন আনতে চাইলে অনলাইন ফর্ম পূরণের সময় তা সঠিক তথ্য প্রদান করুন এবং তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বলতে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জায়রো কার্ডের কপি সংযুক্ত করুন। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে কোন নোটারি পাবলিক থেকে এফিডেভিট করিয়ে তা প্রথমে নোটারাইজড করতে হবে, অতঃপর আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে সর্বশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে তার একটি কপি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এজাতীয় পরিবর্তন পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন হওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি স্লিপ এর কপি নিয়ে আপনার কোন প্রতিনিধি ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।
আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ বা শেষ পর্যায়ে। আমাকে নতুন পাসপোর্ট পেতে হলে কি করতে হবে?
আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি এমআরপি বা ডিজিটাল পাসপোর্ট হলে, নতুন পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আপনাকে রি-ইস্যু অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। প্রথমেই আপনাকে নিচে প্রদত্ত লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে রি-ইস্যু ফরম ডাউনলোড করতে হবেঃhttp://www.passport.gov.bd/Reports/MRP_Information_Alteration_Correction.pdfএই ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার জন্য নিচের লিঙ্কে প্রদত্ত নমুনা ফরম টি দেখে নিনঃ
ফর্ম পূরণের পরে ফর্মের সাথে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টসমূহ সংযুক্ত করুনঃ
ক) আপনার বর্তমান পাসপোর্ট এর ২ ও ৩ নং পৃষ্ঠার ফটোকপি
খ) আপনার পাসপোর্টে ইনফর্মেশন পেজ বা ২ নং পাতায় উল্লিখিত ব্যক্তিগত নং/পার্সোনাল নাম্বার হিসেবে যে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র / ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার রয়েছে সেই ডকুমেন্টের (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়) ফটোকপি সংযুক্ত করুন।
গ) জাপানিজ রেসিডেন্স কার্ড বা জাইরু কার্ডের ফটোকপি।
ঘ) আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি (উভয় পার্শ্ব এক পৃষ্ঠায়); স্টুডেন্ট হলে ৪০০০ (4000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত অন্য সকলের ক্ষেত্রে ১২০০০ (12000) ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। অতঃপর ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমির অরিজিনাল রিসিপ্ট-এর একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন।
ঙ) আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যেমন মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, পোস্ট কোডসহ পুরো ঠিকানা, বাসা কিংবা কর্মক্ষেত্রের টেলিফোন নম্বর ইত্যাদি একটি সাদা কাগজে প্রিন্ট আকারে অথবা পরিষ্কার অক্ষরে লিখে জমা দিন। এই কাগজের নিচে আপনার স্বাক্ষর প্রদান করুন।
চ) আপনার মূল পাসপোর্টঃ মনে রাখবেন, যারা ডাকযোগে নতুন পাসপোর্ট পেতে চান তাদের পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট-এর জন্য মূল পাসপোর্ট জমাদান বাধ্যতামূলক; এবং আপনার এই পাসপোর্টটি নতুন পাসপোর্ট আসা পর্যন্ত দূতাবাসের কাছে জমা থাকবে। নতুন পাসপোর্ট আসার পরে আপনার পুরাতন পাসপোর্টটি যথাযথ নিয়মে বাতিল সিল প্রদান পূর্বক নতুন এবং পুরাতন দুটো পাসপোর্টই একসাথে ফেরত পাঠানো হবে।
** যারা দূতাবাসে এসে তাদের নতুন পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন, তাদের পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখা হবে না। নতুন পাসপোর্ট যখন নিতে আসবেন, তখন পুরাতন পাসপোর্ট এবং ডেলিভারি স্লিপ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা আপনার নতুন পাসপোর্টটি ইস্যু করব এবং পুরাতন পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করে একসাথে আপনাকে দেয়া হবে।
** আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি যদি কোন কারণে হারিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে রিপোর্টের তারিখ, নম্বর ও পুলিশ স্টেশনের নামসহ মূল পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করুন। বাধ্যতামূলক ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ-এর জন্য দূতাবাসে সরাসরি আসুন এবং হারানোর যাবতীয় বৃত্তান্ত লিখে স্বাক্ষরসহ জমা দিন।
সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সেক্ষেত্রে percentage কমিয়ে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে।
আমি ডাকযোগে আমার পাসপোর্টের আবেদন পাঠাতে বা ফেরত পেতে পারবো কিনা?
ডাকযোগে আপনার আবেদন দূতাবাসে পাঠাতে চাইলে, আবেদন পত্রের সাথে একটি ফিরতি খাম লেটার প্যাক সংযুক্ত করতে হবে যা আপনি আপনার নিকটস্থ পোস্ট অফিস অথবা ফ্যামিলি মার্ট বা সেভেন এলেভেন থেকে ক্রয় করতে পারবেন। নমুনা খামের একটি ছবি নিচের লিংকে সংযুক্ত করা হলোঃ
এটি একটি লাল বর্ডার যুক্ত এলপি লেটার প্যাক যার মুল্য ৫২০ ইয়েন। উক্ত খামের উপর আপনার পোস্ট কোড সহ পূর্ণ ঠিকানা, নাম ও ফোন নাম্বার লিখে নিন। লেটার প্যাকটি পাঠানোর পূর্বে লেটার প্যাকের উপরের পৃষ্ঠার একটি ছবি তুলে আপনার কাছে সংরক্ষনে রাখুন এবং এই লেটার প্যাক এর উপরে একটি ট্রাকিং নাম্বার দেয়া আছে যা দিয়ে আপনি সহজেই জানতে পারবেন আপনার লেটার প্যাকটি দূতাবাসে পৌঁছেছে কিনা আপনার প্রেরিত লেটার প্যাকটি বর্তমানে কোথায় আছে তা ট্র্যাকিং করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ https://www.post.japanpost.jp/index_en.html ডাকযোগে প্রেরণের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হলে দূতাবাস দায়ী থাকবেনা মর্মে আপনার স্বাক্ষর সহ একটি সাদা কাগজে আবেদন সংযুক্ত করুন। মনে রাখবেন, একটি লেটার প্যাক এ সর্বোচ্চ ২ জনের পাসপোর্ট পাঠানো যায়; তাই আবেদনকারীর সংখ্যা দুই জনের বেশি হলে একাধিক (প্রয়োজনমতো) লেটার প্যাক সংযুক্ত করুন।
ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায়, কত ইয়েন এবং কিভাবে করব?
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের আশেপাশেই ফ্যামিলি মার্ট, সেভেন এলেভেন বা পোস্ট অফিস, জেপি ব্যাংক রয়েছে যেখান থেকে সহজেই আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। প্রাপক- জাপান পোস্ট ব্যাংক (JP Bank) অ্যাকাউন্ট নাম্বার ১০০৮০-৭৩৭৯৬৭৫১ (10080- 73796751)। পোস্ট অফিসে সরাসরি ফি প্রদান করলে দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো লিখুন আর ব্যাংকের এটিএম কার্ড-এর মাধ্যমে এটিএম মেশিনে ফি প্রদান করতে চাইলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো টাইপ করুন এবং সবশেষ কনফার্ম বাটনে চাপ দেয়ার আগে জাপানিজ ভাষায় দূতাবাসের নামটি পরীক্ষা করে নিন। অসতর্ক হলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং অর্থের পরিমাণ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। উল্লেখ্য, দূতাবাস একাউন্টে অতিরিক্ত অর্থ প্রেরণ করলে ৭ দিনের মধ্যে অবশ্যই দূতাবাসকে জানাতে হবে। মনে রাখবেন, ভুলক্রমে প্রেরণকৃত অর্থ ফেরত প্রদান সরকারি আইন অনুযায়ী অনেক সময় সাপেক্ষ এবং জটিল বিষয়। উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন। একই সাথে, আপনার পাসবুক আপডেট বা হালনাগাদ করুন এবং দূতাবাসে স্বশরীরে আসার সময় পাস বইটিও সঙ্গে নিয়ে আসুন। আপনি যদি স্টুডেন্ট হন (বিদ্যালয়/ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ইনিস্টিটিউট ইত্যাদি থেকে সদ্য ইস্যুকৃত এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট এর মূলকপি এবং স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি জমাদান সাপেক্ষে) ৪০০০ (4000) ইয়েন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। স্টুডেন্ট ব্যতীত সকলের ক্ষেত্রে ১২০০০ (12000) ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন। বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে এবং জাপানে সাময়িক সময়ের জন্য পিএইচডি/মাস্টার্স/উচ্চশিক্ষা/প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আসলে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ১২০০০ ইয়েন প্রদান করতে হবে। অফিশিয়াল পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে কোন ফি প্রদান এর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে আপনার ভ্যালিড জিও কপি সংযুক্ত করুন।
আবেদনে ছবির সাইজ কেমন হবে এবং ছবির পিছনে স্বাক্ষর বা সত্যায়িত করা লাগবে কিনা?
রি-ইস্যু আবেদনের সময় ছবির সুনির্দিষ্ট কোন সাইজ প্রয়োজন নেই; তবে পাসপোর্ট সাইজের অর্থাৎ ৩০*৪০ mm অথবা ৩৫*৪৫ mm সাইজের ছবি হলে ভালো হয়। ছবির পিছনে স্বাক্ষর অথবা সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
বর্তমান পাসপোর্টটি করার সময় যে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করেছিলাম সেটি আমার সাথে নেই অথবা খুঁজে পাচ্ছিনা, এখন আমি কি করব?
বর্তমান পাসপোর্টে যে ব্যক্তিগত নং বা পার্সোনাল নাম্বার দেয়া আছে তার স্বপক্ষের ডকুমেন্টটি আমাদের প্রয়োজন, তাই অনুগ্রহ করে দেশে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পরিচয় পত্রের কপি বা অনুলিপি সংগ্রহ করুন। সেই ডকুমেন্টটি যদি বাংলাদেশ থেকে ইস্যু করে থাকেন সে ক্ষেত্রে দূতাবাসের পক্ষে কিছু করার নেই। এসকল ক্ষেত্রে দেশে আপনার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আর আপনার ব্যক্তিগত নং হিসেবে ব্যবহৃত নম্বরটি যদি জাপান দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে দূতাবাসে যোগাযোগ করে নতুন করে তা সংগ্রহ করা যাবে। সেক্ষেত্রে, আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ১০০০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব। সেক্ষেত্রে, আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা লিখে দিন।
আমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড আছে, সেক্ষেত্রে কি আমাকে স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) দিতে হবে?
জি হ্যাঁ। স্টুডেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেট (Student Enrolment Certificate) জমা দিতে হবে এই স্টুডেন্ট সার্টিফিকেটটি আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে। প্রি-স্কুল/কিন্ডারগার্টেন/চাইল্ড কেয়ার কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট আপনার স্টুডেন্ট এনরলমেন্ট সার্টিফিকেট হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না; এসকল ক্ষেত্রে আপনাকে ১২০০০ ইয়েন দিতে হবে।
আমি নতুন বিবাহ করেছি; তাই আমার পাসপোর্টে আমার ম্যারিটাল স্ট্যাটাস এবং স্বামী/স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করতে চাই, এক্ষেত্রে আমাকে কি করতে হবে?
আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে থাকেন তাহলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট, সিটি অফিস থেকে ইস্যুকৃত জুমিন ইয়ো, স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জাইরো কার্ড এর কপি দিতে হবে। আর আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি জাপানে না থাকে, তাহলে আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে নিয়ে আসতে হবে এবং স্বামী বা স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র/ভোটার আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
আমার ডিভোর্স বা তালাক সংক্রান্ত কারণে স্বামী বা স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করতে চাই অথবা ম্যারিটাল স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে চাই। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়?
আপনার বিবাহ জাপানে হয়ে থাকলে সিটি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিভোর্স সার্টিফিকেট প্রথমে অনুবাদ করে ও পরে নোটারি করে জমা দিতে হবে। আর বাংলাদেশে যদি বিবাহ হয়, সে ক্ষেত্রে ডিভোর্স সার্টিফিকেট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিভোর্স সার্টিফিকেট সত্যায়নের পদ্ধতি হলো, প্রথমে আপনাকে তা নোটারি করতে হবে; অতঃপর আইন মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন করতে হবে; সবশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করাতে হবে।
জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে দিলে পাসপোর্ট হাতে পেতে কতদিন সময় লাগে? আর জরুরী পাসপোর্ট করার কোন সুযোগ আছে কিনা?
আমার এনরোলমেন্ট বা ডেলিভারি স্লিপে যে ডেলিভারির তারিখ উল্লেখ আছে, আমি কি সেই দিন পাসপোর্ট পাবো?
আমি পাসপোর্টের জন্য গত xx তারিখে জমা দিয়েছি। আমার পাসপোর্ট টা কি এসেছে?
বর্তমানে বিদেশস্থ কোন বাংলাদেশ দূতাবাসে জরুরিভিত্তিতে স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা চালু নেই। পাসপোর্ট এর আবেদন করার পরে নতুন পাসপোর্ট পেতে বর্তমানে ২০ দিন থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগছে। আপনার পাসপোর্ট-এর আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে তা আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজেই জানতে পারবেন। কিভাবে জানবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও রয়েছে তারই একটি ভিডিও লিঙ্ক নিম্নরূপঃ https://www.youtube.com/watch?v=hEVLlSKt5G4 যে তারিখ আপনার এনরোলমেন্ট স্লিপে উল্লেখ আছে, সেই তারিখটি মূলত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেহেতু পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশ হতে প্রিন্ট হয়ে আসে তাই বিদেশস্থ মিশনগুলোতে সাধারণত এর চেয়ে কিছু বেশি সময় লাগে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট রি ইস্যু করার জন্য বাচ্চাকে দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে কিনা জানতে চাই?
বাচ্চার যদি প্রথম এমআরপি পাসপোর্ট করতে হয় এবং বাচ্চার বয়স যদি পাঁচ বছরের কম হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চাকে সাথে আনার প্রয়োজন নেই। বাচ্চাদের নতুন পাসপোর্ট করার নিয়মটি নতুন পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে করণীয় অধ্যায়ে বর্ণিত আছে। আর বাচ্চার বয়স যদি ৫ বছরের অধিক হয় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। তাই বাচ্চার বয়স পূর্ণ পাঁচ বছর বা তার অধিক হলে তাকে অবশ্যই দূতাবাসে আসতে হবে।
প্রথমবার পাসপোর্ট করার সময় তো বাচ্চাকে নিয়ে আসিনি। তাহলে এখন কেন আনতে হবে?
তখন আপনার বাচ্চার বয়স পাঁচ বছরের কম ছিল, তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পাঁচ বছরের বেশি হওয়াতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া অত্যাবশ্যকীয়।
আমার পাসপোর্ট এর ছবি পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে কিনা?
আপনার পাসপোর্টের ছবির সাথে বর্তমান চেহারার পার্থক্য যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে দূতাবাসে এসে ছবি পরিবর্তন করা উচিত। মনে রাখবেন, পূর্ণ পাঁচ বছর বা তার অধিক থেকে বিশ বছর বয়স্কদের ক্ষেত্রে দূতাবাসে এসে ছবি তোলা বাধ্যতামূলক।
বিশেষ প্রয়োজনে আমার বর্তমান পাসপোর্টটি দূতাবাসে জমা রাখা সম্ভব নয় অথবা আমি পাসপোর্ট-এর আবেদনের সময় আমার বর্তমান পাসপোর্টটি জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখন জরুরী প্রয়োজনে তা আমি ফেরত চাই। এমতাবস্থায় আমি কি করবো?
আপনি আপনার জমাকৃত পাসপোর্টটি জরুরী প্রয়োজনে ফেরত নিতে চাইলে দূতাবাসে সশরীরে এসে আবেদন করতে পারেন। আর যদি ডাকযোগে ফেরত চান সেক্ষেত্রে আপনি দুইটি ফিরতি খাম সম্বলিত লেটার প্যাক আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, যেখানে প্রথমটি দিয়ে আমরা আপনার বর্তমান পাসপোর্টটি আপনাকে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করব। তবে মনে রাখবেন, নতুন পাসপোর্ট নেয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে পুরনো পাসপোর্টটি দূতাবাসে পুনরায় জমা দিতে হবে কেননা নতুন পাসপোর্ট দেয়ার সাথে সাথে আপনার পুরনো পাসপোর্টটি বাতিল সিল প্রদান করা বাধ্যতামূলক। তাই আপনার প্রয়োজন শেষে আপনার পাসপোর্টটি পুনরায় আমাদের নিকট পাঠিয়ে দিন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নতুন এবং পুরানো দুটো পাসপোর্ট আপনাকে আপনার দেয়া দ্বিতীয় খামে ফেরত পাঠিয়ে দিব।
আমার কোন ইমেইল এড্রেস নেই অথবা আমি ইমেইল ব্যবহার করতে পারি না, সেক্ষেত্রে ডেলিভারি স্লিপটি আমি কিভাবে পেতে পারি ?
যেকোন ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইলে যোগাযোগ করা সবচেয়ে উত্তম, কেননা এতে আপনার ডেলিভারি স্লিপ বা অন্যান্য ডকুমেন্ট সংরক্ষিত থাকে। আমরা অনেক সময়ই আবেদনকারীর কাছ থেকে জানতে পারি যে, তিনি তার ডেলিভারি স্লিপ-এর কাগজটি হারিয়ে ফেলেছেন বা খুঁজে পাচ্ছেন না। এ সকল ক্ষেত্রে তার পাসপোর্ট এর আবেদন খুঁজে পেতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ হচ্ছে, আপনি যদি ইমেইল ব্যবহার করতে নাও পারেন আপনার যে বন্ধু বা নিকট আত্মীয় ব্যবহার করে তার ইমেইল এড্রেসটি আমাদের দিন; আর একান্তই অপারগ হলে আপনি ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। উক্ত খামে আমরা আপনার পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার একটি প্রাথমিক ডেলিভারি স্লিপ আপনার কাছে পাঠিয়ে দিব যা আপনি স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে দিলে আমরা আপনার পাসপোর্ট-এর এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন করে ঢাকায় প্রিন্টিং এর জন্য পাঠিয়ে দিব। ফেরত দেয়ার পূর্বে অবশ্যই ডেলিভারি স্লিপের ছবি তুলে আপনার সংরক্ষনে রাখুন। দূতাবাসে ইমেইল পাঠানোর ঠিকানাঃ consular.bdembjp@mofa.gov.bd
আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার পাসপোর্ট-এর কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন ২০২০ সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
এই তালিকাটি থেকে জানা যাচ্ছে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। যেমন, ২০২০ সালের-
জানুয়ারি ১৩ | মার্চ ২০ | মে ৪ | জুলাই ২৩ |
জুলাই ২৪ | আগষ্ট ১০ | সেপ্টেম্বর ২২ | নভেম্বর ৩ |
এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব?
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন https://goo.gl/maps/KGnqHGD2uFofng2N6
আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতিপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ১০০০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
আমি ডাকযোগে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট এর আবেদন একসাথে পাঠাতে পারবো কিনা?
দুটো আবেদন আপনি ডাকযোগে একসাথে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও আমাদের পরামর্শ হল দুটো কাজ আলাদা আলাদা করা। কেননা এতে ভুল-ত্রুটি হয় না। দুটো আবেদন একসাথে পাঠালে প্রথমে আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তারপরে পাসপোর্ট এর প্রসেস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটে ভুল ত্রুটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই আপনি প্রথমে জন্ম নিবন্ধন এর কাজ সম্পন্ন করুন তারপরে পাসপোর্টের আবেদন আলাদাভাবে পাঠান। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ** তারিখে শেষ হতে যাচ্ছে বা শেষ হয়ে গেছে। আমাকে কত দিনের ভিতর পাসপোর্ট রি ইস্যু করার আবেদন করতে হবে?
পাসপোর্ট রি-ইস্যু আবেদন করার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি যখন ইচ্ছা সেটা করতে পারেন; আপনার পাসপোর্ট-এর মেয়াদ থাকুক আর নাই থাকুক। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, আপনি পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার জন্য এমন সময় বেছে নিন, যেসময় পাসপোর্টটি আপনার কোন কাজে লাগবে না বা আপনার দেশে যাবার কোন পরিকল্পনা নেই। আমরা অনেক সময়ই আবেদন গ্রহণের সময় শুনতে শুনতে পাই যে, আবেদনকারীর দেশে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বা টিকিট কেটে ফেলেছেন, তাই পাসপোর্টটি জরুরিভাবে দরকার ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর- এই ৫ বছরের ভেতরে যে কোন সময় আপনি পাসপোর্টের আবেদন করতে করতে পারেন। আবার ৫ বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও যেকোনো সময় সেটা করতে পারবেন। অনুগ্রহ করে আপনি এমন কোন সময় বেছে নিবেন না যখন পাসপোর্টটি আপনার প্রয়োজন হবে। সহজ কথায়, দূতাবাসে পাসপোর্টের আবেদন করতে আসলে, অন্তত দেড় মাস সময় পাসপোর্ট দূতাবাসে জমা রাখার প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে আপনি আবেদনের সময় নির্বাচন করুন।
বর্তমান পাসপোর্টে আমার নিজের নাম/বাবার নাম/মায়ের নাম/স্থায়ী ঠিকানা/জন্ম তারিখ ভুল আছে বা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। উক্ত সংশোধনের জন্য আমাকে কি করতে হবে?
আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ভিতর কম গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য যেমন বর্তমান ঠিকানা ফোন নাম্বার, পেশা, ইমারজেন্সি অ্যাড্রেস ইত্যাদি পরিবর্তন করা তুলনামূলক সহজ এবং দূতাবাস তা করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করতে চান, সেটা দূতাবাসে করা খুবই জটিল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। আমাদের পরামর্শ হল, পাসপোর্টে পরিবর্তন করা প্রয়োজন হলে সেটা আপনি দেশ থেকে করা শ্রেয়। আপনার যদি আগামীতে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে যখন দেশে যাবেন তখন দেশ থেকে এই কাজটি করিয়ে নিবেন মর্মে এখনই পরিকল্পনা করে নিন। আর একান্তই যদি দূতাবাস থেকে করাতে চান, সেক্ষেত্রে আবেদনের সময় আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আপনার পাসপোর্টের কোন তথ্যে পরিবর্তন আনতে চাইলে রি-ইস্যু ফর্মে তা উল্লেখ করুন এবং তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বলতে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জায়রো কার্ডের কপি সংযুক্ত করুন। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে কোন নোটারি পাবলিক থেকে এফিডেভিট করিয়ে তা প্রথমে নোটারাইজড করতে হবে, অতঃপর আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে সর্বশেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত করে তার একটি কপি আপনার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এ জাতীয় পরিবর্তন পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন হওয়ায় পাসপোর্ট পেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে এক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি স্লিপ এর কপি নিয়ে আপনার কোন প্রতিনিধি ঢাকার আগারগাঁওস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।
আমি পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টটি এই দূতাবাস থেকেই করিয়েছিলাম। এখন এই জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট এর কোন তথ্য পরিবর্তন করতে কেন আমাকে বাংলাদেশ থেকে এফিডেভিট করে নিয়ে আসতে হবে?
আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্টে কোন তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে এফিডেভিট জমা দেয়া আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক বিধায় বাংলাদেশ থেকে করিয়ে আনতে হয়।
৫ থেকে ২০ বছর বয়সী বাচ্চাদের পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার আবেদনের সাথে কি বাবা-মায়ের ছবি দিতে হবে?
প্রয়োজন নেই। ৫ থেকে ২০ বছর বয়সী বাচ্চাদের পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে শুধু আবেদনকারীর এক কপি ছবি দিলেই যথেষ্ট।
[ IMPORTANT: Please note that Bangladesh Embassy does not receive any visa application by post. Applicants must submit their applications either by themselves or by any authorized persons / organizations being physically present at the embassy ]
[Note: Applicants under-18 years old must submit written permission from his/her parents along with the copies of Passport/ID card and birth certificate/municipality declaration
3. The applicants are required to submit the following documents depending on the purpose of the visit. However, it may also be noted that additional documents may be asked for by the Embassy as applicable.
A. Tourist Visa (Category: T. Also applicable for academic seminar, workshop etc.):
B. Visa for Businessmen (Category: B):
C. Visa for Investors (Category: PI):
D. Visa for Study Purpose (Category: S):
[Note: Non-Japanese nationals are requested to apply for N visa through their respective country of origin]
E. Visa for Japanese Government representatives and Officials (Category: A, A-1 and A-2)
F. Visa for Non-Government Organization (NGO) related visit (Category: N):
[Note: Non-Japanese nationals are requested to apply for N visa through their respective country of origin]
G. Visa for accompanying family members:
H. For Journalist/ Media personnel (Category: J):
[Note: Non-Japanese nationals are requested to apply for J visa through their respective country of origin
I. For persons who intend to work in Bangladesh (Category E and E1):
If applicants want to visit for any other purpose not mentioned above, please contact Embassy by email at: consular.bdembjp@mofa.gov.bd
4. Visa Fees:
For Japanese Nationals, No Visa Fee required
For applicants other than Japanese Nationals: Applicable visa fee is available at www.visa.gov.bd. The applicant must deposit the required amount to the account of Bangladesh Embassy in terms of equivalent JPY. Applicants are requested NOT to transfer fee over internet. After depositing the required amount, the applicant must bring the original money transfer receipt to Embassy and submit along with other documents. The fee must be deposited in the following account of the Embassy:
Bank: Japan Post Bank
Account Name: Embassy of Bangladesh
Account No. 10080-73796751
Note: All service recipients are requested to take utmost care while transferring money to the designated account of the Embassy of Bangladesh, Tokyo. In case of any discrepancy, service recipients are requested to submit request for refund to the Embassy of Bangladesh, Tokyo within 7 (seven) days of the associated transaction, failing which the Embassy will not be liable or bound to refund any claim.
5. Visa Processing Time:
Applications are received from 09:30-11:30 hours on every work day. Visas are delivered from 15:00-16:00 hours.
Visa processing takes at least 3 (three) workdays, subject to receipt of all required documents/information. Some Visa categories that are required to be referred to the concerned authorities in Bangladesh may need more time.
For any query please send e-mail to: consular.bdembjp@mofa.gov.bd.
You may also dial – 03 32345801 Ext. 106
機械読み取り可能ビザ(MRV)
東京のバングラデシュ大使館は、2014年3月に機械読み取り可能ビザ(MRV)を導入しました。日本で居住許可証を持っている日本国民並びに外国国籍の方で、バングラデシュのビザ申請を希望する方は、https://www.visa.gov.bdにアクセスし、機械読み取り可能ビザ(MRV)へのオンライン申請をしてください。Internet Explorer(Windows)9.0、またはMozilla Firefox3.5より前のバージョンをお使いの場合は、ウェブサイトにログオンする際に問題が生じる可能性があります。
申請を始める前に、必ず説明をよくお読みください。
オンライン申請書を提出した後に、申請者は記入したオンライン申請用紙をプリントアウトし、以下の文書に加えて大使館の領事部に提出しなければなりません。
• 6ヵ月以上の残存有効期間と2ページ以上の空白ページがある申請者のパスポート
•最近撮影されたパスポート用写真 2枚
• フライト/ホテルの予約の詳細
• 必要料金の支払い受領証
• 18才未満の申請者は、PPやIDと出生証明書または自治体申告書のコピーに加えて、両親の許諾書を提出しなければなりません
上述の文書に加えて、申請者は訪問の目的に従って以下の文書を提出することが必要です。
A. 観光ビザ(一回入国のみ):
– 正しく記入されたオンライン申請書
– パスポートのコピー
-最近撮影されたパスポート用写真 1枚
-バングラデシュのホテルの予約/フライトの詳細
B. ビジネスマンと外国人投資家用のビザ:
-関連しているビジネス組織からの証書/バングラデシュからの招待状
-商工会議所/地方雇用企業からの推薦状
– バングラデシュのホテルの予約/フライトの詳細
C. 勉強目的のビザ:
– 関連する大学/大学院/学校(バングラデシュの教育機関)からの招待状/合格通知書
– バングラデシュの大学/大学院/学校からの申請書/推薦状
– 銀行保証状
D. 会合、セミナー、会議(プロジェクト)などの短期間用のビザ(一回入国のみ):
– バングラデシュの組織からの招待状ならびに日本の会社/組織からの申請書
E.非政府組織(NGO)関連のビザ:
– バングラデシュのNGO情勢局からの証書
-バングラデシュの組織と申請者/(所属する)組織間の契約書
F.ソーシャル・ワーカー用のビザ:(NGO勤務者、その他)
– 関連している機構とバングラデシュのNGO局からの証書
G.外交官と官僚用のビザ:
-外務省からの口上書
H. 同行する家族用のビザ:
– 申請者のパスポートと最新のビザページのコピー
– 自治体や関連する機関による家族証明書/申告書
I. 国連関連または、他の国際機関(ADB,その他)職員用のビザ:
– 各々のバングラデシュの関連組織からの招待状
– 日本の組織からの証書または口上書
J. ジャーナリスト/メディア人員用のビザ:
– F-I、FIIと持ち込み機材のリストを記入する必要があります
– バングラデシュの関連組織からの招待状
– 撮影目的、撮影地、撮影スケジュールを説明する申告書
ビザ申請料金:
日本国民:必要ありません
日本国民以外の申請者:米ドルまたは他の通貨でビザ申請料金をお支払いいただけます。詳しくはwww.visa.gov.bdより確認してください。
申請者は、上記のウェブサイトの表に記載されている日本円での金額と同額を支払う必要があります。料金は、以下にあります大使館の口座にてお支払いください。
銀行:ゆうちょ銀行
口座名:バングラデシュ大使館
口座番号:10080-73796751
ビザ手続き時間:
すべての必要書類や情報の受領には、少なくとも3営業日かかります。バングラデシュ関連の機関に委託されるものは、より時間がかかる場合があります。
ご質問などは電子メールまたは電話でお願いいたします:consular.bdembjp@mofa.gov.bd
電話-03 3234 5801
ビザ申請時の記入例はこちらをご参照ください。(日本国籍の方向け)
Bangladesh origin foreign citizens (except SAARC countries) are eligible for endorsement of “No Visa Required to Travel to Bangladesh” stamp on their foreign passports. Their (foreign born) spouses and children are also eligible for this endorsement, which allows the holder multiple entries into Bangladesh with unlimited duration of stay within the validity of the passport.
For NVR, you have to apply online. Visit www.visa.gov.bd and start your online application (you may face problem in logging-on the website if you are using an earlier
version than 9.0 of Internet Explorer (Windows) or an earlier version than 3.5 of Mozilla Firefox).
Please read the instructions carefully before you start your application. Since this is a common application system for New Visa, Extension of Visa, NVR and On Arrival Visa;
you have to continue filling it up and select No Visa Required (NVR) in case of the category of your application.
Following documents have to be submitted for No Visa Required seal:
a) Printed copy of online Application.
b) 01 (one) copy passport size photograph
c) Original foreign passport with validity of at least six months
d) Police clearance report obtained from Bangladesh has to be attested by the Ministry of Foreign Affairs of Bangladesh
e) Previous Japanese passport having ‘No Visa Required (NVR)’ stamp (applicable only in case of transfer of NVR to a new passport from an old one)
No Visa Required (NVR)’ stamp on the passport of child:
a) Current/ expired Bangladeshi passport of Father/Mother. Names of Father/Mother must be the same in both Birth Certificate of Child and parent’s Bangladesh Passport.
b) Child’s Bangladeshi passport or Japanese birth certificate where parents’ names and particulars are included. Names of the Child, and his/her Father and Mother along with other Particulars must be same.
N.B. In case of first-time NVR for a child, either the father or the mother of the child must have NVR. Otherwise the police clearance certificate of the father or the mother (who is a Bangladeshi citizen) will be required.
No Visa Required (NVR)’ stamp on the passport of spouse of Bangladesh national:
a) Valid Bangladeshi Passport of the person applying for NVR for spouse with foreign nationality
b) Foreign Passport/ Citizenship Certificate
c) Valid marriage documents attested by the Ministry of Foreign Affairs, Dhaka or valid marriage certificate from the city office of Japan
d) Declaration of the relationship and request for issuance of NVR, by the spouse (Bangladeshi).
Fees for NVR:
Fees for NVR for Japanese nationals for the first time is free. JPY 6000 will be charged from the second time and onward for each NVR stamp. Citizens of other countries will pay regular visa fee for the first time and from the second time and onward fee will be JPY 6000 for each NVR stamp. Original payment receipt is required to process application.
Delivery Time: 3 (three) working days from submission of application.
For any query please send e-mail to: consular.bdembjp@mofa.gov.bd. You may also call at +81 3 3234 5801 (Ext. 106 or 121).
Click here for: Online Birth Registration Guideline
Bangladesh nationals living in Japan who do not have Bangladesh National ID or digital Birth Registration Certificate may apply online for a Birth Registration Certificate by accessing the following website: br.lgd.gov.bd
For doing data correction in your online birth certificate, you have to pay JPY3000 as a data correction fee.
Please do not transfer fee over internet. Use an ATM or bank counter.
For any query, please send e-mail to: consular.bdembjp@mofa.gov.bd. You may also call Consular & Passport Service Section at +81 3 3230 1773(Direct) or +81 3 3234 5801 (Ext. 102/307).
আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ করতে চাই। আমাকে কি করতে হবে?
বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ করার পদ্ধতি জানতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করুনঃ
http://bdembjp.mofa.gov.bd/index.php/online-birth-registration/
আমার/আমার বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ ইতিপূর্বে দূতাবাস থেকে নিয়েছিলাম। কিন্তু তা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন পাসপোর্ট এর আবেদনের সময় সেটার কপি আমার পুনরায় প্রয়োজন। আমাকে কি করতে হবে?
আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং জায়রো কার্ডের এক কপি ফটোকপিসহ দূতাবাস বরাবর আপনার জন্ম নিবন্ধনের কপি হারিয়ে গিয়েছে মর্মে একটি সাদা কাগজে আবেদন করুন। সেই সাথে ১০০০ ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন।
আমি দূতাবাস হতে ইতিপূর্বে জন্ম নিবন্ধন সনদ করিয়েছি। এখন সেই জন্ম নিবন্ধন সনদে কিছু তথ্য পরিবর্তন করতে চাই। আমাকে কি করতে হবে?
আপনি আপনার পাসপোর্ট-এর কপি, জায়রো কার্ডের কপি ও পূর্বের জন্ম নিবন্ধন সনদ-এর কপি সহ সাদা কাগজে আবেদন করুন। আপনি কি কি পরিবর্তন চান তা আপনার আবেদনে বিস্তারিত লিখুন এবং তার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করুন। একই সাথে বাংলাদেশ হতে একটি এফিডেভিট করে সেটি নোটারাইজড করে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়ন করে দূতাবাসে জমা দিন। সেই সাথে 3000 ইয়েন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি করুন এবং সেই ফুরিকমির অরিজিনাল স্লিপ আপনার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দূতাবাসে সরাসরি জমা দিন বা ডাকযোগে ফিরতি খামসহ পাঠিয়ে দিন। আপনার আবেদন পেলে আমরা আপনার জন্ম নিবন্ধন এর একটি বিকল্প কপি তৈরি করে আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিব। আপনার ফিরতি খামে অবশ্যই ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ডাকটিকেট সংযুক্ত করুন এবং আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা লিখে দিন
আমি চাকরি জনিত কারণে কাজের দিন গুলোতে ছুটি পাই না। আমি কি কোন বন্ধের দিনে দূতাবাসে আমার জন্ম নিবন্ধন সনদের কাজে আসতে পারি? দূতাবাস কি খোলা আছে?
জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট এবং কনস্যুলার সেবা সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিমাসের প্রথম রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকে । সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসের প্রথম রবিবারে একসাথে অনেক মানুষের ভিড় হয়। সে ক্ষেত্রে সেবা প্রদান দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তাই আরো একটি বিকল্প পন্থার কথা আমরা আপনাকে জানাতে চাইঃ লক্ষ্য করে দেখুন, বাংলাদেশ দূতাবাসের বাৎসরিক ছুটির দিনগুলো আর আপনার/জাপানের ছুটির দিনগুলো সব ক্ষেত্রে এক নয়। প্রথমেই জেনে নিন ২০২০ সালে দূতাবাস কোন কোন দিন বন্ধ থাকবেঃ
এই তালিকাটি থেকে জানা যাচ্ছে যে, অনেকগুলো দিন আছে যেদিন জাপানে পাবলিক হলিডে কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা। তাই আপনার দূতাবাসে আসার জন্য এই দিনগুলো খুবই সুবিধাজনক। যেমন, ২০২০ সালের-
জানুয়ারি ১৩ | মার্চ ২০ | মে ৪ | জুলাই ২৩ |
জুলাই ২৪ | আগষ্ট ১০ | সেপ্টেম্বর ২২ | নভেম্বর ৩ |
এর বাহিরেও জাপানে বিভিন্ন কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান/স্কুল/কলেজ/ইউনিভার্সিটি গোল্ডেন উইক, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, এবং ওবোন হলিডেস ইত্যাদি সময় বন্ধ থাকে, কিন্তু এ সময়গুলোতেও দূতাবাস প্রায়ক্ষেত্রে খোলা থাকে। তাই আপনার এ বছরের ছুটির সাথে দূতাবাসের বন্ধের তালিকা মিলিয়ে নোট করে নিন কোন দিনগুলো আপনার বন্ধ আর দূতাবাস খোলা। ঐদিন গুলোতেই আপনি দূতাবাসে আপনার পাসপোর্ট বা কন্সুলার সেবার জন্য চলে আসতে পারেন।
আমি এম্বাসির ঠিকানা জানতে চাই? বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে হলে আমি কোন স্টেশন এ আসবো বা স্টেশনের কোন গেট দিয়ে বের হব?
আপনার মোবাইলে যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে আপনি নিচের লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে সহজেই দূতাবাসে পৌঁছানোর উপায় জানতে পারবেন link
আর আপনি যদি অফলাইনে থাকেন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না জানেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে পৌঁছাতে নাগাতাচো স্টেশন (Nagatacho Station) অথবা কোজিমাচি স্টেশন (Kojimachi Station) এর যেকোনো একটি স্টেশনে নেমে হেঁটে আসতে হবে। নাগাতাচো স্টেশনে নামলে 9A or 9B গেট দিয়ে বের হবেন আর কোজিমাচি স্টেশন দিয়ে বের হলে Exit Gate 1 ব্যবহার করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।
আমি ডাকযোগে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট এর আবেদন একসাথে পাঠাতে পারবো কিনা?
দুটো আবেদন আপনি ডাকযোগে একসাথে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও আমাদের পরামর্শ হল দুটো কাজ আলাদা আলাদা করা। কেননা এতে ভুল-ত্রুটি হয় না। দুটো আবেদন একসাথে পাঠালে প্রথমে আমাদেরকে জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। তারপরে পাসপোর্ট এর প্রসেস করতে হয়। এ ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটে ভুল ত্রুটি হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই আপনি প্রথমে জন্ম নিবন্ধন এর কাজ সম্পন্ন করুন তারপরে পাসপোর্টের আবেদন আলাদাভাবে পাঠান। একবার যদি পাসপোর্ট এর তথ্য ভুল হয়ে যায় সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফুরিকমি কোথায়, কত ইয়েন এবং কিভাবে করব?
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের আশেপাশেই ফ্যামিলি মার্ট সেভেন এলেভেন বা পোস্ট অফিস জেপি ব্যাংক রয়েছে যেখান থেকে সহজেই আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। প্রাপক- জাপান পোস্ট ব্যাংক (JP Bank) অ্যাকাউন্ট নাম্বার ১০০৮০-৭৩৭৯৬৭৫১ (10080- 73796751)। জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ফী- ১০০০ ইয়েন। পোস্ট অফিসে সরাসরি ফি প্রদান করলে দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো লিখুন আর ব্যাংকের এটিএম কার্ড-এর মাধ্যমে এটিএম মেশিনে ফি প্রদান করতে চাইলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ফি এর পরিমাণ ঠিকমতো টাইপ করুন এবং সবশেষ বাটনে চাপ দেয়ার আগে জাপানিজ ভাষায় দূতাবাসের নামটি পরীক্ষা করে নিন। অসতর্ক হলে অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং অর্থের পরিমাণ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। উল্লেখ্য, দূতাবাস একাউন্টে অতিরিক্ত অর্থ প্রেরণ করলে ৭ দিনের মধ্যে অবশ্যই দূতাবাসকে জানাতে হবে। মনে রাখবেন, ভুলক্রমে প্রেরণকৃত অর্থ ফেরত প্রদান সরকারি আইন অনুযায়ী অনেক সময় সাপেক্ষ এবং জটিল বিষয়। উল্লিখিত অর্থ একাউন্টে জমা দানের পর টাকা জমা দেয়ার ডিপোজিট স্লিপ এর অরিজিনাল কপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করুন এবং একটি ফটোকপি আপনি নিজের কাছে রেখে দিন।
ডাকযোগে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন দূতাবাসে পাঠাতে চাইলে কি করবো?
ডাকযোগে আপনার আবেদন দূতাবাসে পাঠাতে চাইলে, আবেদন পত্রের সাথে ৮৪ ইয়েন বা তদুর্ধ্ব ইয়েনের ডাকটিকিটসহ একটি ফেরত খাম সংযুক্ত করুন। উক্ত খামের উপর আপনার পোস্ট কোড সহ পূর্ণ ঠিকানা, নাম ও ফোন নাম্বার লিখে নিন। আপনার সনদটি তৈরি হলে আমরা আপ্নকে তা ডাক মারফত পাঠিয়ে দিব।
আমি অনলাইনে আবেদন করতে পারছিনা; এখন আমি কি করব?
অনলাইনে না পারলে হার্ড কপির উপর হাতে লিখেও ফর্ম পূরণ করা যায়; তবে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে এবং তা সময় সাপেক্ষ বিষয় কেননা আপনার তথ্য সমূহকে আমাদের ম্যানুয়ালি টাইপ করে দিতে হয়। মনে রাখবেন, জন্ম নিবন্ধন সনদ যেহেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং এর তথ্যসমূহ নির্ভূল হওয়া খুবই জরুরী, তাই আপনি নিজে সময় নিয়ে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজে পূরণ করুন আর আপনার পক্ষে অনলাইনে ফরম পূরণ করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের সহযোগিতা নিন। একবার যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ এর তথ্য ভুল হয়ে যায়, সেটি পরবর্তীতে পরিবর্তন বা সংশোধন করতে আপনাকে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রস্তুত হতে কতদিন সময় লাগবে?
বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে সাধারণত ৩ থেকে ৫ কর্মদিবস সময় লেগে থাকে। অনলাইনে ফর্ম পূরণের পরিবর্তে হাতে লিখে আবেদন করলে সময় আর বেশি লাগবে।
** সকল কাগজপত্র অবশ্যই A4 সাইজ কাগজে জমা দিন। কোন দলিল (যেমন, বিয়ের সনদ বা হলফনামা ইত্যাদি) যদি আকারের বড় হয় সে ক্ষেত্রে A4 সাইজ কাগজে ফটোকপি করে জমা দিন। সকল কাগজপত্র পরিষ্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে।
(The Embassy is located in between Nagatacho and Kojimachi Station. Nagatacho Station (Exit: 9a/9b) is about 9 minutes’ and Kojimachi Station (Exit1) is about 6 minutes’ walking distance)
Consular & Passport Service (Direct): 03-3230-1773
Office hour: 09:00 a.m. to 05:00 p.m. Monday to Friday (Except holidays)
Consular service hour: 10:30 a.m. to 02:30 p.m.
Break: 01:00 p.m. to 01:30 p.m.
アクセス:永田町駅(9a、9b 出口)より徒歩約9分。麹町駅(1出口)より徒歩約6分。
開館時間 : 09:00 a.m. to 05:00 p.m.
昼休み : 01:00 p.m. to 01:30 p.m.
領事部の営業時間: 10:30 a.m. to 02:30 p.m.
領事部は平日に加えて、毎月第一日曜日の10:00~14:00も営業しております。
休館日:土曜、日曜
Emergency Helpline | 080-4456-1971, 070-3202-4400, 080-40656601, 070-1260-1984 | |
Consular & Passport Service (Direct) | 03-3230-1773 | |
The Ambassador | 03-3234-5801 Extension-303 | |
Diplomatic Wing | Counsellor (Political) | 03-3234-5801 Extension-307 |
First Secretary | 03-3234-5801 Extension-202 | |
First Secretary | 03-3234-5801 Extension-310 | |
Economic Wing | Economic Minister | 03-3234-5801 Extension-200 |
Commercial Wing | Commercial Counsellor | 03-3234-5801 Extension-203 |
Labour Wing | Counsellor | 03-3234-5801 Extension-201 |
Press Wing | First Secretary | 03-3234-5801 Extension-211 |
For general purpose | bdembassy.tokyo@mofa.gov.bd | |
For consular matters | consular.bdembjp@mofa.gov.bd | |
The Ambassador | ||
Diplomatic Wing | Counsellor (Political) | crpolitical.tokyo@mofa.gov.bd |
First Secretary | arif.mohammad@mofa.gov.bd | |
First Secretary | tushita.chakma@mofa.gov.bd | |
Economic Wing | Economic Minister | economin.tokyo@mofa.gov.bd |
Commercial Wing | Commercial Counsellor | commercialcounsellortokyo@gmail.com |
Labour Wing | Counsellor | zakir2kbd@gmail.com |
Press Wing | First Secretary | sspress.tokyo@mofa.gov.bd |
Documents/certificates to be attested by the Embassy must have prior authentication/attestation by the Consular section of the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka. Without prior authentication of the Ministry of Foreign Affairs, the Embassy is unable to attest such documents.
Attestation of Legal Instruments/ Documents: .
Legal instruments to be executed in Bangladesh like Power of Attorney/Authorization, Affidavit etc. must be signed before the consular officer of the Embassy. Concerned person must bring his /her Bangladeshi passport to prove identity. One set of photocopy of the document and copy of the fist few pages of the passport need to be submitted for keeping record at the Embassy.
Attestation Fee: JPY 600 per page
Attestation of educational certificate/Relevant certificate: If Educational certificates are to be attested by the embassy, they must have prior authentication both by the concerned University/Educational Institution/Board and the Consular section of the Ministry of Foreign Affairs in Dhaka. Without having prior authentication, no certificate will be considered valid for attestation. .
Attestation Fee: JPY 600 per page .
National Certificate: .
To obtain national certificate, one has to apply with the copy of his/her passport. .
Fee: 600 yen .
Delivery time: 03 (Three) working days.
N.B. All service recipients are requested to take utmost care while transferring money to the designated account of the Embassy of Bangladesh, Tokyo. In case of any discrepancy, service recipients are requested to submit request for refund to the Embassy of Bangladesh, Tokyo within 7 (seven) days of the associated transaction, failing which the Embassy will not be liable or bound to refund any claim.
For any query please send e-mail to: consular.bdembjp@mofa.gov.bd. You may also call +81 3 3234 5801 (Ext. 104)
The following documents are required for Nationality Certificates:
Nationality certificates may be obtained by post also. For that, a return envelope with the recipient’s address written on it and having sufficient postage should be sent to us.
The Embassy issues one-way travel permit (with three months validity) to Bangladesh nationals who for some reason are not in possession of their Bangladeshi passport and want to return to Bangladesh. The applicant needs to make a prior appointment and appear before the Consular Officer at the Embassy for an interview with following documents:
– Copy of Previous Passport (if any).
– Bangladeshi Birth Certificate and nationality certificate duly attested by the Ministry of Foreign Affairs, Dhaka.
– 4 (four) copy recent passport size photograph
– Duly filled out application form -Applicants under 18 years old have to submit a written permission from his/ her parents with their copies of Passports / IDs.
Applicable Fee for Travel Permit/ Document:
For regular delivery (within 3 working days): JPY 2,000
For urgent delivery (within same working day): JPY 3,000