প্রেস রিলিজ

টোকিও, ১৯ অক্টোবর ২০২১

 

টোকিওতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত

আজ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী । এই দিনে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, নবীকূলের শিরোমণি, সর্বশেষ রাসুল – প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আজ (১৯-১০-২০২১, মঙ্গলবার) বিশ্ব শান্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যার ছোট-বড় সকল গুণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়, সেই মহামানবের উপর  দরুদে সোয়াব ও দোয়ার আয়োজন করেছে।  

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে আলোচনা পর্বে জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন “আমরা মহান আল্লাহর প্রতি হাজারো শুকরিয়া জানাই আমাদেরকে তাঁর হাবিবের উম্মত হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণের জন্য”।  তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ শান্তির বাণী দিয়ে যুগে যুগে অনেক নবী রাসুলকে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা সবাই শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার ও মানবতা প্রতিষ্ঠা করতে আল্লাহ প্রদত্ত পথে আজীবন অটল ছিলেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম এবং ‘সিরাজুম মূনিরা’বা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপ যিনি অন্ধকারে নিমজ্জিত আরব সমাজকে আলোর পথে নিয়ে আসেন। তিনি ছিলেন “আল-আমিন” বা বিশ্বাসী, তিনি এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে অন্য ধর্মের অনুসারীগণও তাঁর কাছে তাঁদের মালামাল জমা রাখতো।

রাষ্ট্রদূত বলেন সারা বিশ্বে শান্তির পতাকা বাহক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন দয়া ও মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইসলাম প্রচার করতে যেয়ে তিনি বহু বাঁধা ও হামলার স্বীকার হন, তবুও তিনি শত্রুর কোন ক্ষতি করেন নাই বরং আল্লাহর কাছে তাঁদের জন্য হেদায়েত চেয়েছেন, এমনকি তাঁদের বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন, অসুস্থ হলে সেবা করেছেন। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করছেন গভীর প্রজ্ঞা, জ্ঞান, ধৈর্য আর সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে। মক্কায় হাজরে আসোয়াদ স্থাপন, মদিনা সনদ কিংবা বিদায় হ্বজের ভাষণ থেকে তাঁর জ্ঞানগর্ভ চিন্তাধারা, সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, নারীর মর্যাদা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা সাম্যক ধারনা পাই। তিনি মহানবীর জীবন ও গুনাগুণের উপর আলোচনা করেন এবং নবীর আদর্শে জীবন গড়ার ও কাজ করার প্রত্যয় ও আশা ব্যক্ত করেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরনীয় একটি দিকনির্দেশনা যা সমাজে শান্তি এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সদা আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।

পরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে দোয়া – দরুদ পাঠ এবং মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে নবীজী ও তাঁর পরিবারসহ, সকল নবী-রাসুল এবং সমগ্র বিশ্বের মুসলমান যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য়, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহিদদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ব শান্তি কামনা এবং করোনা মহামারি থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করা হয়। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা – কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

মুহা. শিপলু জামান

প্রথম সচিব (প্রেস)